Aller au contenu principal

হাতিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা


হাতিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা


হাতিয়া দারুল উলুম কামিল স্নাতকোত্তর মাদ্রাসা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার একটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন আলিয়া মাদ্রাসা। এটি ১৯৪৮ সালে আবুল হাসানাত মোহাম্মদ আবদুল হাই কর্তৃক ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। মাদ্রাসাটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে অবস্থিত। মাদ্রাসাটিতে প্রায় ১১০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম আবু ইউসুফ মুহাম্মাদ ইদ্রিস। মাদ্রাসার সভাপতি হলেন হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ, ১৪ জন পরিচালনা কমিটি দ্বারা মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে থাকে। মাদ্রাসার ইআইআইএন নাম্বার ১০৭৪৫১।

ইতিহাস

ব্রিটিশ ভারতের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত মোহাম্মদ আবদুল হাই নিজ এলাকায় ইসলামি জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারের জন্য এই মাদ্রাসাটি নিজ বাসভবনে প্রতিষ্ঠা করেন। এটি হাতিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে ৭.৫ কিলোমিটার দক্ষিনে হাতিয়ার প্রধান সড়কের পার্শ্বে বুড়ির চর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামে অবস্থিত। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন প্রতিষ্ঠাতার পুত্র এ এস এম রশিদুল হাই, তিনিও বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব ছিলেন। ২০১০ সালে নদী ভাঙ্গনের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার বাড়ির সামনে থেকে বর্তমানে স্থানে নিয়ে আসা হয়।

মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পরে দাখিল ও আলিম শ্রেণীর স্বীকৃতি পায়, এরপরে ১৯৪৮ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল শ্রেণীর স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকার থেকে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হতে থাকে। ২০০৬ সালের পূর্বে বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসার পরীক্ষা মূলত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করত। এরপরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২০০৬ সালের সংশোধনীরূপে বাংলাদেশের ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত করা হয়, সেই প্রেক্ষিতে এই মাদ্রাসাটিও অধিভুক্তি লাভ করে। এরপরে ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম

মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এই মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ প্রভৃতি বিভাগ চালু আছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

সুযোগ-সুবিধা

এই মাদ্রাসা আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি মাদ্রাসা। শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরি থেকে শুরু করে গ্রন্থাগার, গবেষণাগার, এবং মেয়েদের জন্য কমন রুম, মেয়েদের অভ্যন্তরীণ সময় কাটানোর জন্য খেলাধুলার সুযোগ প্রভৃতি।

খেলার মাঠ

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। বেশিরভাগ সময় ছাত্ররা ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল খেলে থাকে। শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে বিভিন্ন ভাগ হয়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খেলাধুলা করে থাকে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থেকে মাঠের উন্নয়ন ও খেলাধুলার সামগ্রী বহন করা থাকে।

গ্রন্থাগার

মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে। দাখিল থেকে শুরু করে কামিল পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই ধার নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। মাদ্রাসার গ্রন্থাগারে আল কুরআন, আল হাদিস, তাফসীর, আল ফিকহ, ইসলামের ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ের উপর বহু মূল্যবান বই রয়েছে।

তথ্যসূত্র


Text submitted to CC-BY-SA license. Source: হাতিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা by Wikipedia (Historical)