Aller au contenu principal

এম. এস. কে. প্রসাদ


এম. এস. কে. প্রসাদ


মন্নভা শ্রীকান্ত প্রসাদ (; তেলুগু: ఎం. ఎస్. కె. ప్రసాద్; জন্ম: ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৫) অন্ধ্রপ্রদেশের মেদিকন্দুরু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে অন্ধ্রপ্রদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন মন্নভা প্রসাদ নামে পরিচিত এম. এস. কে. প্রসাদ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

গুন্টুর জেলার মেদিকন্দুরু এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারে মন্নভা প্রসাদ ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৫ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রঞ্জী ট্রফিতে অন্ধ্রপ্রদেশ দলের সাথে ক্রিকেট খেলার সূত্রপাত ঘটান। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মন্নভা প্রসাদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দেশের অন্যতম দূর্বলতম রাজ্য ক্রিকেট দলে খেলতেন। স্বীয় যোগ্যতা গুণে তিনি জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিশোর বয়সেই উইকেট-রক্ষক হিসেবে আগ্রহী হয়ে উঠেন। কোচ কে. শ্রীকান্ত তার সক্ষমতায় উচ্ছাস প্রকাশ করতেন। সর্বদাই ব্যাট হাতে উত্তরণ ঘটাতে সচেষ্ট ছিলেন।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে পাকিস্তান এ দলের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত এ দলের সদস্যরূপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০০২-০৩ মৌসুমে নিজের স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। দুইটি শতক ও পাঁচটি অর্ধ-শতক সহযোগে ৭৫৪ রান তুলেন। এছাড়াও, ১১ খেলায় ৩২টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছিলেন। কেবলমাত্র এবারই ৪০ ঊর্ধ্ব গড়ে রান পেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্ট ও সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন মন্নভা প্রসাদ। ১০ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে মোহালীতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ জানুয়ারি, ২০০০ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক নয়ন মোঙ্গিয়া’র আকস্মিক আঘাতের কারণে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ছয়টি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে, তিনটি অস্ট্রেলিয়া ও অপর তিনটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল। পাশাপাশি অনেকগুলো ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এমনকি, মঙ্গিয়া’র সুস্থ দেহে ফিরে আসার পরও খেলার ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন। তবে, খেলার মানের অবনতি ঘটায় তাকে বাদ দেয়া হয়। এ পর্যায়ে ব্যাট হাতে তিনি মাত্র ৮ গড়ে রান তুলতে পেরেছিলেন। এভাবে তার সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

অবসর

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও আরও সাত মৌসুম অন্ধ্রপ্রদেশ দলের সাথে রঞ্জী ট্রফিতে খেলেন। তন্মধ্যে, শেষ মৌসুমে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের ছয় বছর পর ২০১৫ সালে ভারতের দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হন ও ২০১৬ সালে প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে এমএসকে প্রসাদকে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্তি দেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় বিতর্কিত ঘটনার কারণে বিসিসিআই তাকে এ পদে নিযুক্তি দেয়। ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত দলের সদস্য নির্বাচনে নেতৃত্ব দেন তিনি।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

  • সদাগোপান রমেশ
  • অংশুমান গায়কোয়াড়
  • ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
  • ভারতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা
Collection James Bond 007

বহিঃসংযোগ

  • ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এম. এস. কে. প্রসাদ (ইংরেজি)
  • ক্রিকেটআর্কাইভে এম. এস. কে. প্রসাদ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)

Text submitted to CC-BY-SA license. Source: এম. এস. কে. প্রসাদ by Wikipedia (Historical)