Aller au contenu principal

সামাজিক ডারউইনবাদ


সামাজিক ডারউইনবাদ


সামাজিক ডারউইনবাদ (ইংরেজি: Social Darwinism) হল সমাজের বিভিন্ন তত্ত্ব যা ১৮৭০ এর দশকে যুক্তরাজ্য, উত্তর আমেরিকা, এবং পশ্চিম ইউরোপে আবির্ভূত হয়। এটি সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং যোগ্যতমের উদ্বর্তন এর ধারণা প্রয়োগ করার দাবি জানায়। সামাজিক ডারউইবাদীগণ যুক্তি দেখান যে, সমাজের সবলরা দেখতে পাবে তাদের সম্পদ এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন দুর্বলরা দেখবে তাদের সম্পদ এবং ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। কোন কোন দলকে শক্তিশালী এবং কোন কোন দলকে দুর্বল বলে মনে করা হবে, এবং কোন সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সমাযে সবলরা পুরস্কার ও দুর্বলরা শাস্তি লাভ করে তা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক-ডারউইনবাদী সম্প্রদায়গুলোতে মতভেদ রয়েছে। এই ধরনের অনেক দৃষ্টিভঙ্গি লেসে-ফেয়ার পুঁজিবাদের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতায় জোড় দেয়, অন্য দৃষ্টিভঙ্গিগুলো কর্তৃত্ববাদ, ইউজেনিক্স, বর্ণবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, নাৎসিবাদ, এবং জাতীয় বা জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সংগ্রামের সমর্থনে ব্যবহৃত হয়।

একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা হিসাবে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সামাজিক ডারউইনবাদ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা হারায় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়। এর কারণ হল, প্রথমত এর সাথে নাৎসিবাদের সম্পর্ক, এবং দ্বিতীয়তঃ ক্রমবর্ধমান বৈজ্ঞানিক ঐকমত্য যে এই মতবাদটি বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন। পরবর্তীতে যেসব তত্ত্ব সামাজিক ডারউইনবাদ হিসেবে শ্রেণীকৃত ছিল, সেগুলো সাধারণত তাদের প্রতিপক্ষের সমালোচনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়; এই মতগুলোর প্রবক্তারা নিজেদেরকে সামাজিক ডারউইনবাদী হিসেবে পরিচয় দেননি। সৃষ্টিবাদীরা প্রায়ই সেই সামাজিক ডারউইনবাদ বজায় রেখেছেন, যার ফলে তারা সবচেয়ে বেশি যোগ্যকে পুরষ্কৃত করার নীতি পরিকল্পনা করেছেন, এই ব্যাপারটি আসলে ডারউইনবাদের যৌক্তিক পরিণাম (জীববিজ্ঞানের প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব)। জীববিজ্ঞানী এবং ঐতিহাসিকগণ বলেছেন যে এটি প্রকৃতিগত হেত্বাভাস বা আপিল টু নেচার নামক হেত্বাভাসে দুষ্ট, কেননা প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্বটিকে নিছকই জীববিজ্ঞানগত প্রপঞ্চকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, এবং এই ব্যাপারটি যে মানব সমাজের জন্য ভাল বা এটিকে মানব সমাজের নৈতিক নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যেহেতু প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্বটি নিছক একটি জৈবিক ঘটনার বর্ণনা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর ফলে এটি নির্দেশিত হয়না যে, এই প্রাকৃতিক নির্বাচন মানব সমাজের জন্য ভাল বা এটি মানব সমাজে একটি নৈতিক নির্দেশিকা হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। যদিও অধিকাংশ পণ্ডিত ডারউইনের তত্ত্বের জনপ্রিয়করন এবং সামাজিক ডারউইনিজমের বিকাশের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেন, তারা এটাও বলেন যে সামাজিক ডারউইনবাদ জীববিজ্ঞানগত বিবর্তনের নীতির অনিবার্য পরিণাম নয়।

সামাজিক ডারউইনবাদী মতাদর্শগুলোর মধ্যে কোনটি মানব সমাজ ও অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে চার্লস ডারউইনের নিজের মতের সাথে মিলে যায় তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তার লেখায় এমন অনুচ্ছেদ আছে যাকে আগ্রাসী ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের বিরোধী বলে ব্যাখ্যা করা যায়, আবার এমনও অনুচ্ছেদ আছে যা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদকে সমর্থন করে। ডারউইনের প্রারম্ভিক বিবর্তনীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং তার দাসপ্রথার বিরোধিতা অনেক সামাজিক ডারউইনবাদী দাবিরই বিরুদ্ধে যায় যেগুলো পরবর্তীতে সামাজিক ডারউইনবাদীরা দরিদ্র এবং ঔপনিবেশিক আদিবাসীদের মানসিক ক্ষমতা নিয়ে তৈরি করেছিলেন। ১৮৫৯ সালে ডারউইনের গ্রন্থ অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ প্রকাশিত হবার পর, স্যার জন লাবাক এর নেতৃত্বে ডারউইনের অনুগামীদের একটি অংশ যুক্তি দেন, সংগঠিত মানব সমাজ গঠিত হয়ে যাবার পর প্রাকৃতিক নির্বাচন কোনরকম উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে। যাইহোক, কিছু পণ্ডিত যুক্তি প্রদান করে যে ডারউইনের দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমে পরিবর্তিত হয় এবং তিনি হার্বার্ট স্পেন্সার এর মত অন্যান্য তাত্ত্বিকদের তত্ত্বকে গ্রহণ করেন। ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার অনুকল্প প্রথম প্রকাশ করার আগেই স্পেন্সার সমাজ সম্পর্কে তার ল্যামার্কীয় বিবর্তনীয় ধারণাগুলো প্রকাশ করেন, এবং স্পেনসার এবং ডারউইন উভয়েই নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে তাদের নিজেদের ধারণা প্রচার করেন। স্পেন্সার তার ল্যামার্কীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে লেসে-ফেয়ার পুঁজিবাদকে সমর্থন করেন, যেখানে তার সেই বিশ্বাসটি ছিল যে, টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম আত্ম-উন্নয়নের প্রেরণা দেয়, যা বংশ পরম্পরায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়। জার্মানিতে সামাজিক ডারউইনবাদের একজন উল্লেখযোগ্য প্রবক্তা হচ্ছেন আর্নস্ট হেকেল, যিনি ডারউইনের চিন্তাধারা এবং তার উপর নিজের ব্যক্তিগত ব্যাখ্যাকে জনপ্রিয় করেন, আর এর মাধ্যমে তিনি মনিস্ট আন্দোলন বা একত্ববাদী আন্দোলন নামে একটি নতুন ধর্মবিশ্বাসের জন্মে অবদান রাখেন।

পদটির উৎপত্তি

থমাস হেনরি হাক্সলি অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ গ্রন্থটি নিয়ে তার ১৮৬১ সালের মার্চ মাসে লেখা পর্যালোচনায় ডারুইনবাদ (Darwinism) শব্দটির নামকরন করেন, এবং ১৮৭০ এর দশকে চার্লস ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদের প্রতি কোন সমর্থন ছাড়াই এটি বিবর্তন বা বিকাশের বিস্তৃত পরিসরের ধারণাগুলোকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।

সামাজিক ডারউইনবাদ (Social Darwinism) শব্দবন্ধটির প্রথম ব্যবহার হয় জোসেফ ফিশার-এর ১৮৭৭ সালের নিবন্ধ দ্য হিস্টোরি অফ ল্যান্ডহোল্ডিং ইন আয়ারল্যান্ড - এ, যা ট্রানজেকশনস অফ দ্য রয়্যাল হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গবাদি পশুর ঋণ দেওয়ার জন্য কোন ব্যবস্থাকে কীভাবে 'টেনিউর' নামে অভিহিত করা হয়েছিল, আর তা থেকে প্রাথমিক আইরিশরা ল্যান্ড টেনিউর এর ধারণার বিকাশ ঘটিয়েছে এই ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল তা নিয়ে ফিশার মন্তব্য করছিলেন -

এই ব্যবস্থাগুলো কোনভাবেই টেনিউর সম্পর্কে আমাদের আজকের ধারণাকে প্রভাবিত করেনি, যেখানে আমরা আজ টেনিউর বলতে বুঝি একজন ব্যক্তির খামারকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এটি কেবলই গবাদি পশুর সাথে সম্পর্কিত ছিল যাকে আমরা ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে বিবেচনা করি। এই বিষয়ে বিবেচনা করাটা প্রয়োজনীয় হিসেবে দেখা গেছে, যখন লেখক স্যার হেনরি মেইন "টেনিউর" শব্দটিকে এর বর্তমান অর্থেই গ্রহণ করেছেন, এবং একটি তত্ত্বের বিকাশ ঘটিয়েছেন যেখানে আইরিশ প্রধান একজন সামন্ততান্ত্রিক ব্যারনে বিকশিত হয়েছেন। আমি এই ব্রেহন আইনে এমন কিছুই পাইনি যার ফলে একে সামাজিক বিবর্তনবাদ (Social Darwinism) হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়, আর আমি এও বিশ্বাস করি যে, আরও বেশি গবেষণা হলে দেখা যাবে প্রাথমিক আইরিশ আইন পুরোপুরিভাবে আজকের চ্যাটেল ব্যবস্থার সাথেই সম্পর্কিত ছিল, এবং কোনভাবেই এটি আমরা আজকে যাকে ফ্রিহোল্ড বা ভূমি অধিকার বলতে যা বুঝি তা ছিল না।

যদিও সামাজিক ডারউইনবাদ শব্দটিতে ডারউইনের নাম আছে, আজ এটি অন্যদের সাথেও, বিশেষ করে হার্বার্ট স্পেন্সার, থমাস ম্যালথাস এবং ইউজেনিক্স এর প্রবক্তা ফ্রান্সিস গ্যাল্টন এর সাথে সম্পর্কিত। মৃত্যুর অনেক পর, ১৯৩০ এর দশকের পূর্বে স্পেন্সারকে সামাজিক ডারউইনবাদী হিসেবে বর্ণনা করা হয়নি। ইউরোপে সামাজিক ডারউইনবাদ শব্দটির ব্যবহার প্রথম দেখা যায় ১৮৮০ সালে, এবং ফরাসি সাংবাদিক ও নৈরাজ্যবাদ এমিল গচিয়ে বার্লিনের ১৮৭৭ সালের একটি স্বাস্থ্য সম্মেলনের বিষয়ে বলতে গিয়ে শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯০০ সালের দিকে শব্দটিকে সমাজবিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেন, এদের কেউ কেউ এই ধারণাটির বিরোধিতা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান ঐতিহাসিক রিচার্ড হফস্ট্যাডার এই শব্দটিকে জনপ্রিয় করেন, যিনি একে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মতাদর্শিক যুদ্ধ প্রচেষ্টায় প্রতিক্রিয়াশীল বিশ্বাসকে বোঝাতে ব্যবহার করেন, যারা প্রতিযোগিতামূলক বিবাদ, বর্ণবাদ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রচার করে। পরবর্তীতে হফস্ট্যাডার এও স্বীকার করেন যে, সমষ্টিবাদী দৃষ্টিভঙ্গিসমূহের উপর ডারউইনবাদী ও অন্যান্য বিবর্তনগত ধারণার প্রভাব "ডারউইনবাদী সমষ্টিবাদ" প্রপঞ্চের জন্য একটি শব্দ তৈরির জন্য যথেষ্ট। হফস্ট্যাডারের কাজের আগে ইংরেজি শিক্ষায়তনিক পত্রিকায় "সামাজিক বিবর্তনবাদ" শব্দটি খুব বিরল ছিল। প্রকৃতপক্ষে,

... এই বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণে সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, আজ আমরা "সামাজিক ডারউইনবাদ" প্রত্যয়টি সম্পর্কে যা জানি তা বস্তুত রিচার্ড হফস্ট্যাডারেরই বানানো। এরিক ফনার ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে হফস্ট্যাডারের প্রকাশিত গ্রন্থের তদকালীন নতুন সংস্করণের এর ভূমিকা অংশে এত দূর যেতে চাননি। তিনি লেখেন, 'হফস্ট্যাডার সামাজিক ডারউইনবাদ শব্দটি আবিষ্কার করেন নি, এটি ইউরোপে ১৮৬০ এর দশকে তৈরি হয়, এবং ১৯২০ এর দশকে আটলান্টিক পাড়ি দেয়। কিন্তু তার লেখার আগে শব্দটি খুব বিরল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হত। তিনি এই শব্দটিকে ১৯ শতকের শেষ দিকের ধারণার সমষ্টিকে প্রকাশের জন্য এই শব্দটিকে একটি প্রমাণ শব্দ হিসেবে তুলে ধরেন, যা এখন সামাজিক চিন্তার শব্দভাণ্ডারে খুব পরিচিত।"

ব্যবহার

সামাজিক ডারউইনবাদের অনেক সংজ্ঞা আছে, এবং এগুলোর কোন কোনটা একটি আরেকটির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। তাই সামাজিক বিবর্তনবাদকে একটি অসঙ্গতিপূর্ণ দর্শন হিসেবে সমালোচনা করা হয়, যা কোন স্পষ্ট রাজনৈতিক উপসংহারে নিয়ে যায় না। যেমন, দ্য কনসাইজ অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ পলিটিক্স বলছে:

অর্থবহ ও সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবহারে জতিলতার একটি কারণ হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং "যোগ্যতমের উদ্বর্তন" এর জীববিজ্ঞানের উপর প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার ফলস্বরূপ সমাজবিজ্ঞানগত বা রাজনৈতিক নীতি হিসেবে সমরূপ কোন ধারণা বা সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়না। একজন "সামাজিক ডারউইনবাদী" কেবল মাত্র লেসে-ফেয়ার বা মুক্তবাজার নীতির সমর্থক হতে পারে, আবার রাষ্ট্রীয় সমাজতন্ত্রের সমর্থক হতে পারে, আবার সাম্রাজ্যবাদী বা অন্ধ ইউজেনিকবাদীও হতে পারে।

"সামাজিক ডারউইনবাদ" শব্দটিকে এর মতাদর্শ বা চিন্তাধারার সমর্থকগণদের দ্বারা ব্যবহৃত হতে দেখা যাওয়ার নিদর্শন বিরল, বরং শব্দটিকে এই আদর্শের বিরোধীদেরকেই অবজ্ঞাসূচকভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায়। শব্দটি ডারউইনবাদ এর সাধারণ অর্থকেও টেনে আনে, যার মধ্যে বিবর্তনগত দৃষ্টিভঙ্গির একটি পরিসর অন্তর্ভুক্ত হয়, কিন্তু ১৯ শতকের শেষের দিকে এই শব্দটিকে আরও নির্দিষ্টভাবে প্রাকৃতিক নির্বাচনেই প্রযুক্ত করা হয়, যেমনটা চার্লস ডারউইন জীবসমূহের জনসংখ্যায় প্রজাত্যায়নকে ব্যাখ্যা করার জন্য করেছিলেন। এই প্রক্রিয়ায় আলাদা আলাদা জীবদের মধ্যে সীমিত সম্পদ নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকে, সমাজবিজ্ঞানী হার্বার্ট স্পেন্সার জনপ্রিয়ভাবে, কিন্তু ভুলভাবে "যোগ্যতমের উদ্বর্তন" (survival of the fittest) বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

সৃষ্টিবাদীরা প্রায়ই সেই সামাজিক ডারউইনবাদ বজায় রেখেছেন, যার ফলে তারা সবচেয়ে বেশি যোগ্যকে পুরষ্কৃত করার নীতি পরিকল্পনা করেছেন, এই ব্যাপারটি আসলে ডারউইনবাদের ( যৌক্তিক পরিণাম (জীববিজ্ঞানের প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব)। জীববিজ্ঞানী এবং ঐতিহাসিকগণ বলেছেন যে এটি প্রকৃতিগত হেত্বাভাস বা আপিল টু নেচার নামক হেত্বাভাসে দুষ্ট, কেননা প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্বটিকে নিছকই জীববিজ্ঞানগত প্রপঞ্চকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, এবং এই ব্যাপারটি যে মানব সমাজের জন্য ভাল বা এটিকে মানব সমাজের নৈতিক নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যেহেতু প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্বটি নিছক একটি জৈবিক ঘটনার বর্ণনা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর ফলে এটি নির্দেশিত হয়না যে, এই প্রাকৃতিক নির্বাচন মানব সমাজের জন্য ভাল বা এটি মানব সমাজে একটি নৈতিক নির্দেশিকা হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। যদিও অধিকাংশ পণ্ডিত ডারউইনের তত্ত্বের জনপ্রিয়করন এবং সামাজিক ডারউইনিজমের বিকাশের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেন, তারা এটাও বলেন যে সামাজিক ডারউইনবাদ জীববিজ্ঞানগত বিবর্তনের নীতির অনিবার্য পরিণাম নয়।

যদিও শব্দটিকে এই দাবির ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়েছে যে, প্রাকৃতিক নির্বাচন নিয়ে ডারউইনের বিবর্তনের তত্ত্ব রাষ্ট্র বা দেশের সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে বুঝতে ব্যবহার করা যেতে পারে, সামাজিক ডারউইনবাদ দ্বারা সাধারণত সেইসব ধারণাকে বোঝানো হয় যা ডারউইন এর অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ গ্রন্থটি প্রকাশিত হবার পূর্বেই বিদ্যমান ছিল। অন্যান্য যাদেরকে এর কৃতিত্ব দেয়া হয় তাদের মধ্যে আছেন, ১৮ শতকের পাদরী থমাস ম্যালথাস, এবং ডারউইনের জ্ঞাতিভাই ফ্রান্সিস গ্যাল্টন, যিনি ১৯ শতকের শেষ দিকে ইউজেনিক্স এর জন্ম দেন।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রসার সামাজিক ডারউইনবাদের ব্যাপক ধারণার সাথে খাপ খেয়ে যায়, যা হল ১৮৭০ এর দশকের পর থেকে "দ্য এংলো-সেক্সন ওভারফ্লোয়িং হিস বাউন্ডারিস" বা "সীমানা অতিক্রম করা এংলো-সেক্সন" নামক উল্লেখযোগ্য ও বিশ্বজনীন প্রপঞ্চ। এই "সীমানা অতিক্রম করা এংলো-সেক্সন" শব্দবন্ধটি তৈরি করেন শেষ-ভিক্টোরিয় সমাজতাত্ত্বিক বেনজামিন কিড তার ১৮৯৪ সালে প্রকাশ করা সোশ্যাল ইভোল্যুশন নামক গ্রন্থে। এই প্রত্যয়টি "সভ্যতার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের" কারণে "সবল জাতির অন্যায়ের প্রতিক্রিয়ায়" "সবল জাতি বা রেস এর দ্বারা দুর্বল জাতির বা রেস এর" অনিবার্য ধ্বংস হওয়ার ন্যায্যতা প্রতিবাদন করায় কার্যকর প্রমাণিত হয়। ইউজেনিক্স এর একজন রাজনৈতিক প্রবক্তা উইনস্টন চার্চিল মনে করতেন, যদি কম পরিমাণে দুর্বল মস্তিষ্কের মানুষের জন্ম হত, তাহলে অপরাধও কম পরিমাণে সংঘটিত হত।

প্রবক্তাগণ

বিবর্তনগত প্রগতিবাদের মত হার্বার্ট স্পেন্সারের ধারণাগুলো উৎসারিত হয়েছিল তার থমাস ম্যালথাসের রচনাগুলো পড়ার মাধ্যমে, এবং তার পরবর্তী তত্ত্বগুলো ছিল ডারউইন দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ, প্রোগ্রেস : ইটস ল এন্ড কজ (১৮৫৭) ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ প্রকাশিত হবার দুই বছর আগেই প্রকাশিত হয়, এবং ফার্স্ট প্রিন্সিপলস গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে।

দ্য সোশ্যাল অরগানিজম (১৮৬০) গ্রন্থটিতে স্পেন্সার সমাজকে একটি জীবিত জীবের সাথে তুলনা করেছেন, এবং যুক্তি দিয়েছেন, যেভাবে জীববিজ্ঞানগত জীবসমূহ প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তিত হয়, সমাজও একইভাবে বিবর্তিত হয় এবং তার জটিলতা বৃদ্ধি করে।

অনেকভাবেই স্পেন্সারের সৃষ্টিসম্পর্কিত বিবর্তন তত্ত্বের সাথে ডারউইনের চিন্তার চেয়ে ল্যামার্ক ও ওগ্যুস্ত কঁৎ এর প্রত্যক্ষবাদের সাথে বেশি মেলে।

জেফ রিগানবাখ যুক্তি দেন, সংস্কৃতি ও শিক্ষা নিয়ে স্পেন্সারের দৃষ্টিভঙ্গি একরকম ল্যামার্কবাদই ছিল, তার লেখাগুলো পড়ে মনে হয় যে, হার্বার্ট স্পেন্সার ছিলেন ব্যক্তিগত দানশীলতার ধারণার প্রবক্তা। কিন্তু তার সামাজিক ডারউইনবাদের উত্তরাধিকার দানশীলতার চেয়ে কমই ছিল।

স্পেন্সারের কাজ ম্যালথাসের কাজের প্রতি আগ্রহ নতুন করে তৈরি করে। ম্যালথাসের কাজ নিজে সামাজিক ডারউইনবাদ হিসেবে উত্তীর্ণ না হলেও, তার ১৭৯৮ সালের রচনা অ্যান এসে অন দ্য প্রিন্সিপল অফ পপুলেশন সামাজিক ডারউইনবাদীদের কাছে অবিশ্বাস্য রকমের জনপ্রিয় ছিল। উদাহরণ হিসেবে সেই গ্রন্থে লেখক যুক্তি দেখান, জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যার পরিমাণ এর খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে বেড়ে যাবে, এর ফলে দুর্বলরা অনাহারে ভুগবে এবং ফলে দেখা দেবে ম্যালথাসীয় বিপর্যয়।

মাইকেল রিউস এর মতে, ডারউইন ম্যালথাসের মৃত্যুর ৪ বছর পর ১৮৩৮ সালে ম্যালথাসের বিখ্যাত গ্রন্থ এসে অন এ প্রিন্সিপল অফ পপুলেশন গ্রন্থটি পড়েন। ম্যালথাস নিজেই সামাজিক ডারউইনবাদীদের পূর্বে বলেছিলেন, দানশীলতা সামাজিক সমস্যার বৃদ্ধি ঘটায়।

১৮৬৫ থেকে ১৮৬৯ সালের মধ্যে ডারউইনের জীববিজ্ঞানগত দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি সামাজিক ব্যাখ্যা হাজির করেন ডারউইনের জ্ঞাতি ভাই ফ্রান্সিস গ্যাল্টন, যা পরবর্তীতে ইউজেনিক্স নামে পরিচিত হয়। গ্যাল্টন যুক্তি দেখান, শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো যেমন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে লব্ধ হয়, তেমনি মানসিক বৈশিষ্ট্য যেমন প্রতিভা, বুদ্ধির ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটতে পারে। তিনি বলেন, সামাজিক নৈতিকতার পরিবর্তনের দরকার আছে। তাই বংশগতি হওয়া উচিত একটি সচেতন সিদ্ধান্ত যাতে অধিক যোগ্যদের নিম্ন-প্রজনন এবং কম যোগ্যদের অতিরিক্ত প্রজননকে ঠেকানো যায়।

গ্যাল্টনের দৃষ্টিভঙ্গিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেমন সামাজিক কল্যাণ বিধান এবং পাগলাগারদ হীন মানুষদেরকে তাদের চেয়ে "উন্নত" মানুষদের চেয়ে বেশি বেঁচে থাকতে এবং দ্রুত হারে প্রজনন করতে অনুমোদিত করে। আর যদি এই অবস্থার সংশোধন করা না হয়, তবে সমাজ "হীন" বা অনুন্নতদের দ্বারা ভরে যাবে। ডারউইন তার জ্ঞাতি ভাই এর লেখাটি আগ্রহ সহকারেই পড়েছিলেন, এবং গ্যাল্টনের তত্ত্বগুলোর আলোচনায় ডিসেন্ট অফ ম্যান অংশকে যোগ করেন। গ্যাল্টন বা ডারউইন কেউই তাদের সরকারের উপর আস্থা না রাখার কারণে প্রজননকে সীমাবদ্ধ করার কোন ইউজেনিক্স নীতিকে সমর্থন করেন নি। ফ্রিডরিখ নিচা এর দর্শন কৃত্রিম নির্বাচনের প্রশ্নটি উত্থাপন করে, যদিও নিচার নীতির আর ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্ব একই সময়ের ছিল না। নিৎশের অসুস্থতা ও স্বাস্থ্য নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষ অরে জীববিজ্ঞানগত অভিযোজনের প্রত্যয়ের বিরোধী ছিল যা স্পেন্সারের ভাষায় "যোগ্যতা" বা ফিটনেস। কখনও কখনও একই অবস্থানে থেকেও বিশেষ কিছু বিষয়ে নিৎশে হেকেল, স্পেন্সার ও ডারউইনের সমালোচনা করেন, যেমন তার মতে অসুস্থতা প্রয়োজনীয়, এমনকি সহায়কও। তিনি লেখেন:

যেখানেই প্রগতিকে নিশ্চিত করতে হবে, প্রকৃতিকে বিচ্যুত করাটা সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটি প্রগতি অর্জন করতে হয় আংশিক দুর্বলতার দ্বারা। শক্তিশালী প্রকৃতি তার ধরন ধরে রাখে, দুর্বলরা একে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। কখনও কখনও একই বিষয় ব্যক্তির ক্ষেত্রেও ঘএ। কোন না কোন স্থানে কোন রকম সুবিধা ছাড়া খুব কম ক্ষেত্রেই কোথাও অধঃপতন, ছাঁটাই, এমনকি কোন অপরাধ বা কোন শারীরিক বা নৈতিক ক্ষতি হয়ে থাকে। কোন যুদ্ধপরিস্থিতির ও অবিশ্রান্ত গোত্রে যেমন রুগ্ন ব্যক্তি একা থাকার সুযোগ পায়, আর তাই সে শান্ত ও জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারে, এক চোখা ব্যক্তির বেঁচে থাকা চোখটি বেশি শক্তিশালী হয়, অন্ধ মানুষ গভীর গিয়ে দেখতে পারে, এবং বেশি শুনতে পারে। এই দিক থেকে যোগ্যতমের উদ্বর্তনের বিখ্যাত তত্ত্বটিকেই আমার কাছে একমাত্র দৃষ্টিভঙ্গি বলে মনে হয় না যা মানুষের বা কোন জাতির শক্তির অগ্রগতিকে ব্যাখ্যা করতে পারে।

আর্নস্ট হেকেল এর রিক্যাপিচুলেশন তত্ত্বটি ডারউইনবাদ ছিল না, কিন্তু এটি গ্যোটে, ল্যামার্ক ও ডারউইনের ধারণাগুলোকে একত্রীকরণের একটি প্রচেষ্টা ছিল। উদীয়মান সামাজিক বিজ্ঞানগুলো এটাকে গ্রহণ করে এই ধারণাটিকে সমর্থনের জন্য যে অ-ইউরোপীয় সমাজগুলো হক "আদিম'। এগুলো ইউরোপীয় আদর্শকে গ্রহণ করার পথে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কিন্তু তখন থেকে এই ধারণাকে অনেক দিক থেকে খণ্ডন করা হয়েছে। হেকেলের কাজগুলোর প্রভাবে ১৯০৪ সালে মনিস্ট লিগের গঠন হয়, যেখানে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি সদস্য ছিলেন, এদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী ভিলহেম অসৎওয়াল্ডও ছিলেন।

সামাজিক ডারউইনবাদ এর সরল দিকটি ম্যালথাসীয় ধারণাকে অনুসরণ করে, যা অনুসারে, মানুষ, বিশেষ করে পুরুষের তাদের ভবিষ্যতে টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগিতার প্রয়োজন হবে। আরও বলতে গেলে, দরিদ্রদের নিজেদের চিন্তা নিজেদেরকে করতে হবে, কারও সাহায্য দেয়া উচিত নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে, বিংশ শতকের শুরুর দিককার বেশিরভাগ সামাজিক ডারউইনবাদী আসলে অধিকতর ভাল কর্ম-অবস্থা ও বেতনকে সমর্থন করেন। এরকম পদক্ষেপ দরিদ্রদেরকে তাদের নিজেদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে এবং সক্ষমদের হীন, দুর্বল ও অলস দরিদ্রদের থেকে আলাদা হবার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সামাজিক পরিবর্তন এবং বিবর্তন সংক্রান্ত অনুকল্প

"সামাজিক ডারউইনবাদকে" প্রথম বর্ণনা করেন ইউনিভার্সিটি অফ স্ট্রাসবুর্গ এর এডুয়ার্ড অস্কার শ্মিদ, যিনি ১৮৭৭ সালে মিউনিখে অনুষ্ঠিত একটি বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত সম্মেলনে এই ব্যাপারে উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে ডারউইনের তত্ত্বের বিরোধী হবার পরও সমাজতান্ত্রিকগণ এটিকে তাদের রাজনৈতিক যুক্তিসমূহকে সবল করার জন্য এটিকে ব্যবহার করেছেন। শ্মিদ এর রচনাটি প্রথম ইংরেজিতেপপুলার সায়েন্স জার্নালে ১৮৭৯ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়। এরপর ১৮৮০ সালে এমিল গচিয়ে নামে এক ফরাসী নৈরাজ্যবাদী প্যারিসে সালে প্যারিসে "Le darwinisme social" শিরোনামে একটি একটি লেখা প্রকাশ করেন। যদিও এই শব্দটির ব্যবহার খুব কম ছিল, অন্তত ইংরেজি ভাষাভাষী অঞ্চলে তো বটেই (Hodgson, 2004)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন ঐতিহাসিক রিচার্ড হফস্ট্যাডার তার প্রভাবশালী গ্রন্থ সোশ্যাল ডারউইনিজম ইন আমেরিকান থট (১৯৪৪) প্রকাশের আগ পর্যন্ত এই অবস্থাটাই বলবৎ ছিল।

ইউরোপে সামাজিক বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের অনুকল্প সাধারণ ছিল। আলোকিত যুগের চিন্তকগণ, যারা ডারউইনের পূর্বে বর্তমান ছিলেন, যেমন হেগেল প্রায়ই যুক্তি দেখান যে সমাজ বর্ধিষ্ণু বিকাশের স্তরসমূহের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। প্রারম্ভিক চিন্তকগণ দ্বন্দ্বকেও সামাজিক জীবনের অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য হিসেবে জোড় দিয়েছেন। থমাস হবস এর ১৭ শতকের ধারণা স্টেট অফ নেচার (সমাজের উদ্ভবের পূর্বের অবস্থা) ডারউইনের ব্যাখ্যাত প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতার অনুরূপ বলে মনে হয়। সামাজিক ডারউইনবাদ অন্যান্য তত্ত্বের থেকে আলাদা, কারণ এখানে ডারউইনের দেয়া জীববিজ্ঞানগত ধারণাগুলোকে সামাজিক পরিসরে নিয়ে আসা হয়েছে।

হবসের মত চিন্তা না করে ডারউইন বিশ্বাস করতেন, প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য এই সংগ্রাম নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য সংবলিত প্রাণীদেরকে অন্যদের তুলনায় অধিক মাত্রায় সফল হতে অনুমোদন দিয়েছে, আর জনসংখ্যার মধ্যে ধীরে ধীরে এই বৈশিষ্ট্যসমূহের বিকাশ ঘটেছে, যার ফলে নির্দিষ্ট কিছু অবস্থায় এর উত্তরাধিকারীরা এতটাই ভিন্ন হয়ে যায় যে এদেরকে নতুন প্রজাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে হয়।

যাই হোক, ডারউইন অনুভব করেন, "সামাজিক প্রবৃত্তিগুলো" যেমন "সহানুভূতি" ও "নৈতিক অনুভূতিগুলোও" প্রাকৃতিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিবর্তিত হয়েছে, এবং এগুলোর ফলে সমাজ আজকে যেরকম রূপ নিয়েছে সেরকম শক্তিশালী হতে পেরেছে। এটি নিয়ে তিনি ডিসেন্ট অফ ম্যান এ লিখেছেন:

নিচের প্রস্তাবগুলোকে আমার উচ্চমাত্রায় সাম্ভাব্য বলে মনে হয় - অনেক প্রাণীর মধ্যেই সুচিহ্নিত সামাজিক প্রবৃত্তির উপস্থিত দেখা যায়, প্রাণীজগতে পিতামাতা ও সন্তানদের ভালোবাসা এরই অন্তর্গত। এগুলো থেকে অনিবার্যভাবে নৈতিক অনুভূতি বা বিবেকের জন্ম হবে, আর তারপর এর বুদ্ধিদীপ্ত ক্ষমতাও বিকশিত হবে যা মানুষের ক্ষেত্রে হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সামাজিক প্রবৃত্তিগুলো একটি প্রাণীকে তার সাথীসমাজ থেকে সুখ গ্রহণের জন্য প্রবৃত্ত করে, এর মাধ্যমে এটি তার সাথীদের প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণে সহানুভূতি বোধ করে, এবং এজন্য এটি তাদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কার্য করে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Primary sources

  • Darwinism: Critical Reviews from Dublin Review (Catholic periodical)|Dublin Review ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে, Edinburgh Review, Quarterly Review (1977 edition) reprints 19th century reviews and essays
  • Darwin, Charles (১৮৫৯)। "On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life" (1st সংস্করণ)। London: John Murray। 
  • Darwin, Charles (১৮৮২)। "The Descent of Man, and Selection in Relation to Sex" (2nd সংস্করণ)। London: John Murray। ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  • Fisher, Joseph (১৮৭৭)। "The History of Landholding in Ireland"। London: Transactions of the Royal Historical Society: 249–50। 
  • Fiske, John. Darwinism and Other Essays (1900) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে

Secondary sources

  • Bannister, Robert C. Social Darwinism: Science and Myth in Anglo-American Social Thought (1989)
  • Bannister, Robert C. Sociology and Scientism: The American Quest for Objectivity, 1880–1940 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুন ২০১১ তারিখে (1987)
  • Bernardini, J.-M. Le darwinisme social en France (1859–1918). Fascination et rejet d'une idéologie, Paris, CNRS Edition, 1997.
  • Boller, Paul F. Jr. American Thought in Transition: The Impact of Evolutionary Naturalism, 1865–1900 (1969) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুন ২০১১ তারিখে
  • Bowler, Peter J. (২০০৩)। Evolution: The History of an Idea (3rd সংস্করণ)। University of California Press। আইএসবিএন 978-0-520-23693-6। 
  • Crook, D. Paul. Darwinism, War and History : The Debate over the Biology of War from the 'Origin of Species' to the First World War (1994)
  • Crook, Paul (১৯৯৯)। "Social Darwinism in European and American Thought, 1860–1945"। The Australian Journal of Politics and History45। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২০ 
  • Crook, Paul. Darwin's Coat-Tails: Essays on Social Darwinism (Peter Lang, 2007)
  • Degler, Carl N. In Search of Human Nature: The Decline and Revival of Darwinism in American Social Thought (1992).
  • Desmond, Adrian; Moore, James (১৯৯১)। Darwin। London: Michael Joseph, Penguin Group। আইএসবিএন 978-0-7181-3430-3। 
  • Dickens, Peter. Social Darwinism: Linking Evolutionary Thought to Social Theory (Philadelphia: Open University Press, 2000).
  • Gossett, Thomas F. Race: The History of an Idea in America (1999) ch 7 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুন ২০১১ তারিখে
  • Hawkins, Mike (১৯৯৭)। Social Darwinism in European and American Thought 1860-1945: Nature and Model and Nature as Threat। London: Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-57434-1। 
  • Hodge, Jonathan and Gregory Radick. The Cambridge Companion to Darwin (2003) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ অক্টোবর ২০১১ তারিখে
  • Hodgson, Geoffrey M. (ডিসেম্বর ২০০৪)। "Social Darwinism in Anglophone Academic Journals: A Contribution to the History of the Term" (পিডিএফ)17 (4): 428–63। hdl:2299/406। ডিওআই:10.1111/j.1467-6443.2004.00239.x। সাইট সিয়ারX 10.1.1.524.4248 । ২০১১-০৭-১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৭Social Darwinism, as almost everyone knows, is a Bad Thing. 
  • Hofstadter, Richard (১৯৪৪)। Social Darwinism in American Thought। Philadelphia: University of Pennsylvania Press। আইএসবিএন 9780807055038। 
    • Hofstadter, Richard (১৯৯২)। Eric Foner, সম্পাদক। Social Darwinism in American Thought (with a new introduction সংস্করণ)। Boston: Beacon Press। আইএসবিএন 978-0807055038। 
  • Jones, Leslie, Social Darwinism Revisited History Today, Vol. 48, August 1998 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুন ২০১১ তারিখে
  • Kaye, Howard L. The Social Meaning of Modern Biology: From Social Darwinism to Sociobiology (1997).
  • Versen, Christopher R. "What's Wrong with a Little Social Darwinism (In Our Historiography)" The History Teacher 42#4 (2009), pp. 403–423 online
  • Sammut-Bonnici, T. & Wensley, R. (2002), 'Darwinism, Probability and Complexity: Transformation and Change Explained through the Theories of Evolution', International Journal of Management Reviews, 4(3) pp. 291–315.
Collection James Bond 007

বহিঃসংযোগ

  • Social Darwinism on ThinkQuest ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুন ২০০৫ তারিখে
  • In the name of Darwin – criticism of social Darwinism
  • Descent of Man on Alibris ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে

Text submitted to CC-BY-SA license. Source: সামাজিক ডারউইনবাদ by Wikipedia (Historical)


INVESTIGATION